ম্যাডিসন ইসলামিক সেন্টার নতুন অধ্যায়ে

Bình luận · 14 Lượt xem

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের রাজধানী ম্যাডিসনে অবস্থিত ম্যাডিসন ইসলামিক কমিউনিটি সেন্টার

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের রাজধানী ম্যাডিসনে অবস্থিত ম্যাডিসন ইসলামিক কমিউনিটি সেন্টার সম্প্রতি তাদের নতুন ভবন উদ্বোধন করেছে। দীর্ঘ ৩০ বছর যাবত ধর্মীয়, সামাজিক ও মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করে ম্যাডিসন ইসলামিক সেন্টার। নতুন ভবন উদ্বোধনের মাধ্যমে তারা নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে। আশা করা যাচ্ছে, নতুন ভবন ইসলামিক সেন্টারের সেবাগুলোকে আরো বিস্তৃত করবে। এই ভবনে আছে, নামাজের স্থান, শিক্ষা কার্যক্রম, সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য হল ও সেবামূলক কর্মকাণ্ডের অফিস।

গত বছরের গোড়ার দিকেই নির্মাণকাজ শেষ হওয়া নতুন ভবনটি পুরোনো কাঠামোর তুলনায় অনেক বেশি প্রশস্ত এবং আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন। মসজিদের নামাজের জায়গা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো হয়েছে, বিশেষ করে নারীদের জন্য আগের তুলনায় বেশি জায়গা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। নতুন ভবনে আছে অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য সুসজ্জিত বেসমেন্ট, একটি আধুনিক রান্নাঘর, সুন্দরভাবে নির্মিত মিহরাব, একটি জিমনেশিয়াম এবং একটি পৃথক পাঠদান ভবন। এই ভবন মুসলিম সম্প্রদায়ের ঐক্য, গর্ব ও দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের প্রতিফলন।

বর্তমানে সেন্টারটিতে নিয়মিত কোরআন শিক্ষা ও আরবি ভাষার ক্লাস, বিয়ের আয়োজন, জানাজার ব্যবস্থা এবং বড় পরিসরে সামাজিক কর্মসূচির আয়োজন করা হচ্ছে। ম্যাডিসন ইসলামিক কমিউনিটি সেন্টারের সম্প্রসারণের পেছনে রয়েছে একটি দীর্ঘ সংগ্রামের গল্প। ২০১০ সাল থেকে সেন্টারের ইমাম হাজি জালো জানান, পূর্ববর্তী মসজিদের জায়গা ক্রমবর্ধমান মুসলি¬র চাহিদা মেটাতে অসমর্থ হয়ে পড়েছিল, বিশেষ করে জুমার নামাজের সময়। অনেক মুসল্লিকেই বাইরে নামাজ আদায় করতে হতো। এ ছাড়া, গাড়ি পার্কিংয়ের স্থানও ছিল খুবই সীমিত, যা যানজটের একটি বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সেন্টারের সভাপতি মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ জানান, ম্যাডিসনের কেন্দ্রস্থলে হাইওয়ের কাছে অবস্থিত ইসলামিক সেন্টারের জমির মূল্য অত্যন্ত বেশি ছিল।

এছাড়া তাৎক্ষণিক পর্যাপ্ত তহবিলের অভাবে ধাপে ধাপে নির্মাণকাজ এগিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়। নির্মাণকাজের মাঝপথে কোভিড-১৯ মহামারী এবং বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতির প্রভাবে প্রকল্পের অগ্রগতি ধীর হয়ে পড়ে এবং ব্যয় বেড়ে যায়। প্রকল্পের ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ তহবিল এসেছে স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের দান থেকে।  পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান শহর ও বহির্বিশ্ব থেকেও কিছু দান পাওয়া গেছে। নতুন ভবনের নির্মাণের ফলে শিশুদের কোরআন শিক্ষার সুযোগও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন ৭৫ জনেরও বেশি শিশু নিয়মিতভাবে কোরআন শিখতে পারে। 

সূত্র : আলুকা নেটওয়ার্ক

Bình luận