নতুন সরকার নিয়ে সেনাসদর ও বঙ্গভবনে আলোচনা

הערות · 1 צפיות

সোমবার বিকালে ওই ভাষণে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জানান, তিনি সব দলের নেতৃবৃন্দকে আমন্ত্রণ করেছিলেন

তিনি বলেন, ''আমরা সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের সাথে কথা বলেছি। আমরা সবাইকে এখানে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। আমরা সুতরাং একটা আলোচনা করেছি।''

 

"একটা অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করবো এবং এই সরকারের মাধ্যমে এ দেশের সব কার্যকলাপ চলবে। আমরা এখন রাষ্ট্রপতির কাছে যাবো। ওনার সাথে আলোচনা করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করে দেশ পরিচালনা করবো"।

 

সেনা সদরের সেই বৈঠকে জামায়াতের আমির, বিএনপি মহাসচিব ও জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দ, রাজনৈতিক নেতা জুনায়েদ সাকী ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ডঃ আসিফ নজরুল উপস্থিত ছিলেন। তবে বৈঠকে আওয়ামী লীগের কেউ ছিলো না।

 

গণ অভ্যুত্থান ও আন্দোলন নিয়ে 'জুলাই:মাতৃভুমি অথবা মৃত্যু' নামে একটি বই লিখেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও পরবর্তীতে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।

 

সেনা সদরের বৈঠকের বিষয়ে আসিফ মাহমুদ তার বইতে লিখেছেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর নানা জায়গা থেকে তাদের কাছে বন্যার তো ফোন আসছিল।

 

''বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা থেকেও যোগাযোগ করা হচ্ছিল। তারা বলল, সেনাবাহিনী রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে বসতে চায়। আমাদেরও খোঁজা হচ্ছে। আমি বললাম, আমরা ক্যান্টনমেন্টে যাব না। দেশের ভাগ্য ক্যান্টনমেন্ট থেকে নয়, নির্ধারিত হবে জনতার মঞ্চ থেকে,'' লিখেছেন আসিফ মাহমুদ।

 

সেনাসদরের বৈঠকের কিছুক্ষণ পরেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের বিষয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনা করার জন্য বঙ্গভবনে প্রবেশ করতে দেখা যায় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী সহ বিভিন্ন দলের নেতাদের।

הערות