উপকারী কয়েকটি দোয়া

Комментарии · 24 Просмотры

দুনিয়ার বুকে মানুষের উপকার হয় ও বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়- এমন অনেক দোয়া পবিত্র কোরআনে কারিম ও হাদিসে বর্ণ??

দুনিয়ার বুকে মানুষের উপকার হয় ও বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়- এমন অনেক দোয়া পবিত্র কোরআনে কারিম ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। দোয়াগুলো খুবই ছোট, তাই সহজে মুখস্থ করা যায়।

 

পাঠকদের জন্য সহজে আমলযোগ্য কয়েকটি ছোট ছোট দোয়া পেশ করা হল—
সব ধরনের অনিষ্টতা থেকে হেফাজতের দোয়া: হজরত উসমান (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, প্রত্যেহ সকালে ও সন্ধ্যায় তিনবার করে এই দোয়াটি পাঠ করলে কোনো কিছুই তার ক্ষতি করতে পারবে না।

দোয়া: বিসমিল্লাহিল্লাজী লা ইয়াদুররু মায়াসমিহি শাইয়ুন ফিল আরদি, ওয়ালা ফিস-সামায়ি ওয়া হুয়াস সামিউল আলীম।

অর্থ: আল্লাহর নামে, যার নামের বরকতে আসমান ও জমিনের কোনো কিছুই কোনো ক্ষতি করতে পারে না, তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ। -তিরমিজি ও আবু দাউদ

কোনো সম্প্রদায় থেকে ক্ষতির আশঙ্কা হলে দোয়া: হজরত আবু মুসা আশআরি (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) যখন কোনো সম্প্রদায় দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করতেন তখন বলতেন—

দোয়া: আল্লাহুম্মা ইন্না নাজআলুকা ফী নুহুরিহীম, ওয়া নাউজুবিকা মিন শুরুরিহীম।

অর্থ: হে আল্লাহ! আমরা তোমাকেই তাদের মুখোমুখি করছি এবং তাদের অনিষ্টতা থেকে তোমারই কাছে আশ্রয় চাচ্ছি। -আবু দাউদ ও নাসাই

রোগী দেখার দোয়া: হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোনো বিপদগ্রস্ত বা রোগী দেখে এই দোয়া পাঠ করে সে কখনও এমন বিপদ কিংবা ব্যাধিতে আক্রান্ত হয় না।

দোয়া: আলহামদুলিল্লাহিল্লাজী আফিনী মিম্মাবতালাকা বিহী, ওয়া ফাদ্দিলনী আলা কাছিরীম-মিম্মান খালাকা তাফদিলা।

অর্থ: ‘সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি তোমাকে যে ব্যাধিতে আক্রান্ত করেছেন তা থেকে আমাকে নিরাপদে রেখেছেন এবং তার বহু সংখ্যক সৃষ্টির ওপর আমাকে মর্যাদা দান করেছেন। ’–তিরমিজি

বিপদ-মসিবতের সময় পাঠ করার দোয়া: হজরত উম্মে সালমা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) কে বলতে শুনেছি, মানুষের ওপর কোনো বিপদ এলে সে যদি এই দোয়া পাঠ করে- আল্লাহতায়ালা তাকে তার বিপদের প্রতিদান দেন এবং সে যা কিছু হারিয়েছে তার বদলে তার চেয়ে উত্তম কিছু দান করেন।

দোয়া: ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন, আল্লাহুম্মা আজিরনী ফী মুসিবাতী ওয়া আখলিফ-লী খাইরাম মিনহা।

অর্থ: আমরা আল্লাহর জন্য এবং আমাদের তারই দিকে ফিরে যেতে হবে। হে আল্লাহ! বিপদে আমাকে সওয়াব দান করুন এবং যা হারিয়েছি তার বদলে তার চেয়ে ভালো কিছু দান করুন। -সহিহ মুসলিম

বিপদের সময় পাঠ করার দোয়া: হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বিপদের সময় এই দোয়াটি পাঠ করতেন—

দোয়া: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল হালীমুল হাকীম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুল আরশিল আজীম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদি- ওয়া রাব্বুল আরশিল কারীম।

অর্থ: আল্লাহ ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই, তিনি পরম সহিষ্ণু ও মহাজ্ঞানী। আল্লাহ ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই, তিনি মহান আরশের প্রভু। আল্লাহ ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই, তিনি আকাশমণ্ডলী, জমিন ও মহাসম্মানিত আরশের প্রভু। -সহিহ বোখারি ও মুসলিম।

ঋণ মুক্তির দোয়া: হজরত আলী (রা.) থেকে বর্ণিত, এক চুক্তিবদ্ধ দাস তার কাছে এসে বলে, আমি আমার চুক্তির অর্থ পরিশোধে অপারগ হয়ে পড়েছি। আপনি আমাকে সাহায্য করুন। তিনি বলেন, আমি তোমাকে এমন একটি বাক্য শিখিয়ে দেব যা আমাকে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) শিখিয়েছিলেন। যদি তোমার ওপর পর্বত পরিমাণ দেনাও থাকে তবে আল্লাহতায়ালা তোমাকে তা পরিশোধের ব্যবস্থা করে দেবেন। তিনি বলেন, তুমি পাঠ করবে—

দোয়া: আল্লাহুম্মাকফিনী বিহালালিকা আন হারামিকা, ওয়া আগনিনী বিফাদলীকা আম্মান সিওয়াক।

অর্থ: হে আল্লাহ! তোমার হালাল দ্বারা আমাকে তোমার হারাম থেকে দূরে রাখ এবং তোমার দয়ায় তুমি ভিন্ন অপরের মুখাপেক্ষি হওয়া থেকে স্বনির্ভর কর। -তিরমিজি ও বায়হাকি।

গুনাহ ও ঋণ থেকে মুক্তির দোয়া: উরওয়া ইবনে জুবায়ের (রহ.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.)-এর স্ত্রী আয়েশা (রা.) তাকে বলেছেন, রাসুল (সা.) নামাজে এ দোয়া করতেন। (বুখারি, হাদিস: ৮৩২)

দোয়া: আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল মাছামি, ওয়াল মাগরামি।  

অর্থ: হে আল্লাহ, গুনাহ ও ঋণগ্রস্ততা থেকে আপনার কাছে আশ্রয় চাই।

বি. দ্র. এটি উল্লিখিত হাদিসে বর্ণিত কয়েকটি দোয়ার মধ্য থেকে একটি।

Комментарии