ধরা পড়ে নিজের জুস নিজেই খেয়ে অচেতন অজ্ঞান পার্টির সদস্য

Mga komento · 15 Mga view

যাত্রীবেশে ট্রেনে ওঠে পাশে বসা দুই নারী যাত্রীর সঙ্গে আলাপচারিতা শুরু করেন অজ্ঞান পার্টির এক সদস্য। একপর্যা?

যাত্রীবেশে ট্রেনে ওঠে পাশে বসা দুই নারী যাত্রীর সঙ্গে আলাপচারিতা শুরু করেন অজ্ঞান পার্টির এক সদস্য। একপর্যায়ে জুস পান করতে অনুরোধ করেন তাদের। জোরাজুরিতে ওই জুস পান করেন তারা। জুস খেয়ে অজ্ঞান হলে খুলে নেন কানের দুল ও নাকফুল। এ সময় পাশের যাত্রী ঘটনাটি আঁচ করতে পেরে হাতেনাতে ফুল মিয়াকে আটক করেন। যাত্রীরা তার কাছে থাকা জুস যাচাই করতে তাকে পান করালে তিনি অজ্ঞান হয়ে লুটিয়ে পড়েন।

শনিবার ভোরে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটিগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনের ঝ বগির ৭৮, ৭৯ নম্বর সিটে এ ঘটনা ঘটে।

পরে সৈয়দপুর রেলওয়ে পুলিশ দুই ভুক্তভোগীসহ অজ্ঞান পার্টির সদস্যকে উদ্ধার করে সৈয়দপুর রেলওয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে। তারা তিনজনই এখন রেলওয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ভুক্তভোগী যাত্রীরা হলেন কৌশিলা রায় ও বীথি রায়। সম্পর্কে মা ও মেয়ে। তারা দিনাজপুরের বিরামপুর স্টেশন থেকে সৈয়দপুরে আসছিলেন। পাশের ৭৭ নম্বর সিটের যাত্রী ছিলেন অজ্ঞান পার্টির হোতা ফুল মিয়া।

রেলওয়ে পুলিশ জানায়, ট্রেনের ওই দুই যাত্রী কৌশিলা ও বীথিকে কৌশলে জুস পান করান ফুল মিয়া। এতে তারা অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাদের কানের দুল ও নাকের ফুল খুলে নেন। এ সময় পাশের যাত্রী আব্দুর রহিম (অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা) বিষয়টি আঁচ করতে পেরে ফুল মিয়াকে আটক করে ওই বগির যাত্রীদের বিষয়টি অবগত করেন। আটক ওই প্রতারক বিষয়টি অস্বীকার করলে যাত্রীরা তার কাছে থাকা জুস তাকে পান করতে বাধ্য করেন। এতে ফুল মিয়া নিজেই অজ্ঞান হয়ে পড়লে সবার কাছে প্রতারণার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। যাত্রীরা তাৎক্ষণিক ট্রেনে দায়িত্বরত রেল পুলিশকে বিষয়টি অবগত করে তাদের হাতে অভিযুক্তকে তুলে দেন।

সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ-উন নবী বলেন, অজ্ঞান পার্টির সদস্য ও ভুক্তভোগী দুই নারী যাত্রীকে সৈয়দপুর রেলওয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় কৌশিলা রায়ের ছেলে রবীন্দ্রনাথ রায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Mga komento