ঐক্যবদ্ধ না হলে গুপ্ত স্বৈরাচারের আবির্ভাব হবে : তারেক রহমান

注释 · 40 意见

ঐক্যবদ্ধ না থাকলে বাংলাদেশে গুপ্ত স্বৈরাচারের উত্থান হতে পারে বলে শংকা প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চে??

তিনি বলেছেন, গত ১৬ বছর বাংলাদেশে ডাকাত পড়েছিলো। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে সেই ডাকাতকে দেশ থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে; স্বৈরাচারের পতন হয়েছে। এখন আমাদেরকে দেশ গড়ার কাজে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

 

 

পুরো দেশের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলছি, আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ হতে না পারি যেভাবে দেশ স্বাধীনের পরে যেভাবে স্বৈরাচার চেপে বসেছিলো, ওয়ান ইলেভেনের পরে ২০০৮ সালে নির্বাচনে যেভাবে স্বৈরাচার বাংলাদেশে চেপে বসেছিলো- যদি আমরা জনগণকে ঠিক বুঝাতে সক্ষম না হই- তাহলে বলা যায় না বাংলাদেশে আগামী দিনে গুপ্ত স্বৈরাচারের আবির্ভাব ঘটতে পারে। কাজেই গুপ্ত স্বৈরাচার থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে, মানুষকে রক্ষা করতে হবে।

 

শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লা টাউন হল মাঠে দক্ষিণ জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান এসব কথা বলেন।

 

 

সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ। উদ্বোধন করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু।

 

প্রধান বক্তার বক্তব্যে সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, যারা আজকে বলছে, ইসলামের জন্য একটি আলাদা বাক্স বসাই, দেখি ওখানে কি হয়। কারা এই স্লোগান দিচ্ছে আপনারা বুঝে নেন। ইসলাম কোনো কোটা রাজনীতি নয়, ইসলাম কোনো রাজনৈতিক বাক্স নয়। আমরা সবাই বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ট মানুষ ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করি। অবশ্যই অন্য ধর্মের মানুষের সাংবিধানিক অধিকারও আমরা নিশ্চিত করেছিে এবং করবো। 

 

এ সময় তিনি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে রাজনীতি দিয়ে ইসলামকে বিভক্ত করতে চায় যে শক্তি, সে শক্তিকে রাজনৈতিকভাবেই আপনারা মোকাবেলা করবেন। যারা একটি কিতাব নিয়ে গ্রামে গ্রামে যাচ্ছে জান্নাতের টিকিট নাকি তারা বিক্রি করতে চায়। যারা এই টিকিট বিক্রি করছে তারা ধর্ম ব্যবসায়ী।

 

৭১-এর চেতনার মতো ২৪-এর চেতনাও যেনো কেউ বিক্রি করতে না পারে সেজন্যও সবাইকে সচেতন থাকার আহবান জানান তিনি। বক্তব্যে শুরুতে দেশের ব্যাংকিং সেক্টরের দূরাবস্থা তুলে ধরে তিনি বলেন, অঘোষিত ভাবে আমরা জানি, আমাদের ব্যাংকিং সেক্টর ৫ লক্ষ কোটি টাকা খেলাপি ঋণে জর্জরিত। 

 

সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আলহাজ্ব মনিরুল হক চৌধুরী, হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন, কেন্দ্রীয় শিল্পবিষয়ক সম্পাদক মো. আবুল কালাম, কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়াপ্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

সভা শেষে জাকারিয়া তাহের সুমনকে সভাপতি এবং আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিমকে সাধারণ সম্পাদক করে দক্ষিণ জেলা বিএনপির কমিটি ঘোষণা করা হয়।

注释