জি এম কাদের জাতীয় পার্টির সাধারণ সদস্য: আনিসুল ইসলাম মাহমুদ

Bình luận · 47 Lượt xem

গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ (আরপিও) ও দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী গত ৯ আগস্ট জাতীয় পার্টির দশম জাতীয় সম্মেলন হয়েছে বল??

অনুসরণ করুন

আনিসুল ইসলাম মাহমুদ আরও বলেন, জিএ ম কাদের এখন পার্টির একজন সাধারণ সদস্য। এ নিয়ে জি এম কাদের বিভ্রান্তি ছড়ালে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। লাঙ্গল প্রতীকের একমাত্র দাবিদার তাঁরাই বলেও জানান তিনি।

 

 

আজ শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গুলশানে আয়োজিত জাতীয় পার্টির জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।

 

গত বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, ‘জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের দাবিদার একাধিক, মালিক কে তা খুঁজে পাচ্ছি না।’ প্রধান নির্বাচন কমিশনারের এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আজকের সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জাতীয় পার্টি।

 

 

সম্মেলনের পরে কমিটি নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছেন উল্লেখ করে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ‘কাউন্সিলের ডকুমেন্ট জমা দিয়েছি। নতুন কমিটি গঠনের পর জি এম কাদের আর কোনোভাবে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান পরিচয় দিতে পারেন না। তা ছাড়া লাঙ্গল প্রতীক কোনো ব্যক্তির নয়। লাঙ্গল প্রতীক নির্বাচনের কমিশনের নিবন্ধিত (১২ নম্বর) জাতীয় পার্টির প্রতীক। তাই আইন ও গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আমাদের নেতৃত্বই জাতীয় পার্টির একমাত্র বৈধ নেতৃত্ব এবং লাঙ্গল প্রতীকের একমাত্র দাবিদার।’

 

জি এম কাদের

জি এম কাদের

 

আনিসুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা লক্ষ করছি, কিছু পক্ষ নির্বাচন কমিশনে ভিন্ন ভিন্ন আবেদন জমা দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। কিন্তু নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রতীক কোনো গোষ্ঠী বা ব্যক্তির আবেদনে নয়, কেবলমাত্র দলীয় গণতান্ত্রিক নেতৃত্বের বৈধ আবেদনের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন বরাদ্দ দিতে পারে।’ অতীতেও নির্বাচন কমিশন একই নীতি অনুসরণ করেছে এবং এবারও আইন, সংবিধান ও গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে বলে প্রত্যাশা করেন জাপার একাংশের চেয়ারম্যান।

 

জি এম কাদেরের প্রসঙ্গ টেনে আনিসুল ইসলাম বলেন, ‘তিনি একবার বলেন—‘‘শেখ হাসিনার ফাঁসি চান’’, আবার বলেন, ‘‘আওয়ামী লীগ ছাড়া নির্বাচন বৈধ হবে না।’’ তিনি কখন কী বলেন নিজেও জানেন না। তাঁর মতো একজন দ্বৈতনীতির লোক রাজনীতিতে কতটা প্রাসঙ্গিক, তা ভাবার সময় এসেছে।’

 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির একাংশের মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, নির্বাহী চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চুন্নু, সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ, কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা প্রমুখ।

Bình luận